সোমবার, ২১ এপ্রিল ২০২৫, ০৩:০৯ অপরাহ্ন
পটুয়াখালী প্রতিনিধি: পটুয়াখালীর বাউফলে জমি ক্রয় করে বিপাকে পড়েছেন আব্দুর রব নামের এক প্রকৌশলী। স্থানীয় এক প্রভাবশালীর মিথ্যা মামলার ভয়ভীতি ও প্রাণনাশের হুমকীতে পরবিার নিয়ে শংকায় রয়েছেন বলে অভিযোগ করেছেন। সংশ্লিষ্ট সুত্রে জানাগেছে, বাউফল পৌরশহরের ২ নং ওয়ার্ডের চন্দ্রপাড়া এলাকা পৈত্রিক সুত্রে ২২ শতাংশের মালিক আব্দুল হালিম ও আব্দুর রহিম নামের দু ভাই। প্রায় ১১ বছর আগে আব্দুর রহিম ১১ শতাংশ জমি বিশেষ প্রয়োজনে আব্দুর রব নামের এক প্রকৌশলীকে বিক্রি করে দেন।
প্রকৌশলী ২নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর মো, ইউনুচও প্রকৌশলীর শ্যালক ইউসুফ এর মাধ্যমে সীমানা পিলার দিয়ে জমি দখলে নেন। পরে একই জমির মালিক অপর ভাই আব্দুল হালিম বাকী ১১ শতাংশ শহিদুল ইসলাম নামের এক প্রভাবশালীর কাছে বিক্রি করে দেন। শহিদুল ইসলাম জমি ক্রয় করেই উক্ত জমি দখলে গিয়ে আব্দুর রবের সীমানা পিলার তুলে দখল করার পায়তারা চালায়। এতে আব্দুর রবের শ্যালক মো, ইউসুফ ঢাকায় ব্যবসা করেন, তিনি মুঠোফোনে বিষয়টি কাউন্সিলরকে অবহিত করেন, ব্যবস্থা নেয়ার জন্যে, এতেই বাধ সাধে প্রভাবশালী শহিদুল ইসলামের। শহিদুল ইসলাম তার পান্ডাদের দিয়ে মিথ্যা ও হয়রানি মামলার অভিযোগ করেন বাউফল থানায় শহিদুল ইাসলাম।
এতেই থামেন নি শহিদুল ইাসলাম এলাকায় আসলে তাদের সাইজ করে দেয়া হবে বলে হুমকী দেন। এ মিথ্যা মামলা ও হুমকীতে চরম উৎকণ্ঠায় পড়েছেন প্রকৌশরীর পরিবার। এ বিষয়ে আব্দুর ও তার শ্যালক বিশিষ্ট ব্যবসায়ী মো.আবু ইউসুফ জানান, তারা উভয়েই ঢাকায় চাকরী ও ব্যবসা করেন। কিন্তু শহিদুল ইাসলাম তাদের জমি জবর দখল করতে না পেরে তাদের বিরুদ্ধে নানা হুমকী ধামকী দিচ্ছেন বলে জানান।
ব্যবসায়ীর সুবাধে আমি ঢাকা থাকি। এলাকায় যখন আসি তখন গরিব ও অসহায় মানুষেরর মাঝে বিভিন্ন সাহায্য সহোযোগিতা করার চেষ্টা করি। অথচ আমার বিরুদ্ধে তারা একটা মিথ্যা অপবাদ দিয়ে সম্মান হানির পায়তারা করছে। এ বিষয়ে শহিদুল ইসলাম জানান, কোন হুমকী ধামকী দেয়া হয়নি। তার নামে বদনাম ছড়াচ্ছে। বরং তারা ক্রয়কৃত জমির সীমানা পিলার রাতের আধারে তুলে নিয়ে গেছে বলে অভিযোগ করেন। এ বিষয়ে বাউফল থানার অফিসার ইনচার্জ আল মামুন জানান, বিষয়টি তার জানা নেই .অভিযোগ পেলেই ব্যবস্থা নেয়া হবে।